আসসালামুয়ালাইকুম ! TrickBD তে সবাইকে স্বাগতম। কোনো ভুল হলে দয়া করে ক্ষমা করবেন। বেশি কথা না বলে শুরু করছি।
আমি সোহাগ আবারো হাজির হলাম আপনাদের মাঝে অন্য একটি পোষ্টে, আজকের পোস্ট শুরু করা যাক !
আপনিও কি Cracked Software ব্যবহার করেন ? এটাও কোনো জিজ্ঞেস করার মতো প্রশ্ন হলো ? অবশ্যই করেন। হয়তো এখন আপনার কম্পিউটার সিস্টেম অথবা ল্যাপটপে কোনো না কোনো Cracked Software অবশ্যই ইনস্টল করা আছে আর আপনি সেটা ব্যবহারও করেন।
তো যদি আপনি Cracked Software ব্যবহার করেন অথবা কোনো ধরনের Cracked Software আপনি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করেন এবং সেটা ব্যবহার করেন, তাহলে ভাই এরকম অবস্থায় আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কথা জেনে রাখা প্রয়োজন এই Cracked Software এর বিষয়ে। যদি আপনি আপনার Computer অথবা Laptop এ Cracked Software ব্যবহার করেন তাহলে আপনি কি কি সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন ? এবং একটা Cracked Software ব্যবহার করা কতটা নিরাপদ?
তো আজকের পোস্টে আমি এই বিষয়ে কথা বলবো, তাহলে এবার পুরো পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
Cracked Software ব্যবহার করা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে সেটা জানার আগে আসুন একটু শর্টকাটে জেনে নেয়া যাক যে এই Cracked Software আসলে কি?
যদি আপনি ইন্টারনেট থেকে কোনো Software Download করেন আর ঐ Software যদি Paid হয় মানে ঐ Software এর ফিচার ব্যবহার করার জন্য টাকা দিতে হয় ! তাহলে যদি আপনি ঐ Software কে Modification করে, সেটাতে কিছু পরিবর্তন করে অথবা সেটার কিছু পার্ট রিমুভ করে, ইত্যাদি পদ্ধতি অনুসরণ করে যদি আপনি সেই Software এর Paid Features গুলো Free তে ব্যবহার করেন তাহলে আমরা সাধারণভাবে ঐ Software কে Cracked Software বলি।
আর এরকম Cracked Software আপনি ইন্টারনেটে অনেক পাবেন। কেউ না কেউ কখনো না কখনো এইসব Cracked Software অবশ্যই ব্যবহার করে। যেমন আমি
তো ভাই এরকম অবস্থায় টাকা কে দেবে ? যখন Free তে Paid Software এর Cracked Version পাওয়া যায়। এখানে অনেকে Cracked Software ব্যবহার করতে তো জানে, কিন্তু তারা বেশিরভাগই Cracked Software এর Disadvantages বা ক্ষতিকর দিকের ব্যাপারে বেশি জানেন না।
যদি আপনি Cracked Software ব্যবহারকারী হোন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এইসব বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন। তাহলে চলুন একটা একটা করে জেনে নেয়া যাক।
No – 1
যখনই আমরা কোনো Cracked Software ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করি আর সেটা যখন আমাদের Computer এবং Laptop এ ইন্সটল করি তখন আগে থেকেই কিছু Application এই Cracked Software এর সাথে চলে আসে আর এসব আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে যায়। আর আমরা অনেক সময় বুঝতেই পারিনা।
যার পর এগুলো আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে বেশি RAM আর CPU ব্যবহার করে আমাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ বেশি হ্যাং এবং স্লো কাজ করে। আর আমরা ভাবি যে আমাদের কম্পিউটার সিস্টেমে ভাইরাস চলে এসেছে। কিন্তু কোথাও না কোথাও এইসব Unwanted, ফালতু Application গুলোর কারণেই কম্পিউটার সিস্টেম দুর্বল হয়ে যায়।
তো মনে রাখবেন যখনই আপনি কোনো Cracked Software ইনস্টল করবেন যদিও আমি Cracked Software ব্যবহার করার জন্য Recommend করি না কিন্তু আমি নিজেই ব্যবহার করি।
কিন্তু যদি আপনি Cracked Software ব্যবহার করেন তাহলে ইনস্টল করার পর আপনার Control Panel এ গিয়ে ওহ্ এখানে আপনার বলতে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপ এর Control Panel এ গিয়ে Application/Software এর List চেক করে দেখবেন যে এমন কোনো Application/Software ইনস্টল আছে কিনা যেটা আপনি নিজে ইনস্টল করেন নি। যদি এরকম কোনো অ্যাপ্লিকেশন পান যেগুলো ইনস্টল করেননি তাহলে সেগুলো Uninstall করুন।
এভাবে প্রায়ই চেক করে রাখবেন।
No – 2
যদি আপনি ইন্টারনেট থেকে কোনো Cracked Software Download করে Install করেন তাহলে এক্ষেত্রে ৯০% সম্ভাবনা থাকে আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে ভাইরাস আসার। হ্যাঁ ! এই যে Cracked Software সেটা Basically কোনো Programmer Modify করে অথবা কোনো Hacker Crack করে।
তো এখন সেই হ্যাকার বা প্রোগ্রামার কোনো ধরনের Malicious Code দিতে পারে এবং যখন আপনি সেই সফটওয়্যার কম্পিউটার সিস্টেমে ইনস্টল করেন তখন সেই কোড আপনার কম্পিউটার সিস্টেম কে হ্যাক করতে পারে। যার ফলে হ্যাকার আপনার সমস্ত ডেটা চুরি করতে পারে অথবা ডিলিট করতে পারে।
তো খেয়াল রাখবেন যদি আপনি Cracked Software ব্যবহার করেন তাহলে আপনাকে এই ঝুঁকি নিতে হবে।
No – 3
এটা একটা কমন সমস্যা এবং যারা Cracked Software ব্যবহার করেন তারা কখনো না কখনো এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। আপনি খেয়াল করবেন যখনই আপনি কোনো Cracked Software Install করবেন তখন আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে যে ব্রাউজার থাকে হতে পারে সেটা Google Chrome, Firefox, Opera ইত্যাদি তো এই Browser এর যে Default Homepage থাকে সেটা আপনাকে কলা খাইয়ে নিজে থেকেই বদলে যায়। হ্যাঁ আমি এটার শিকার !
যদিও আপনি সেটা চেন্জ না করেন তাহলেও। যদি আপনি আপনার কম্পিউটারের Browser Settings এ গিয়ে ঐ বদলে যাওয়া ডিফল্ট হোমপেজ কে বদলানোর চেষ্টা করেন তাহলে দেখা যায় বেশিরভাগ সময় সেটা আপনি আর বদলাতে পারেন না সেটা সেভাবেই থেকে যায়।
তো কোথাও না কোথাও এইসব Cracked Software এর জন্যই হয়, Malicious Code এর জন্যই হয়। যার কারণে আপনি যাই করেন না কেন সেটা আর বদলাতে পারেন না সহজে। যদি আপনার সাথেও এরকমটা কখনো হয় তাহলে আপনি ম্যালওয়্যার বাইডস নামে (Free Trial) বা অন্য নামে কিছু সফটওয়্যার পাবেন গুগলে পাবেন যার সাহায্যে আপনি এই ধরনের সমস্যার সহজেই সমাধান করতে পারবেন।
No – 4
যখনই আপনি ইন্টারনেট থেকে কোনো Cracked Software Download করেন তো তার বেশিরভাগই আপনি ZIP ফরম্যাটে পাবেন। তো অনেক সময় যখন আপনি সেই ZIP ফাইল Extract করতে যান তখন Password চায়।
এছাড়াও সেখানে অনেক সময় TXT ফাইল পাওয়া যায় যেখানে বলা হয় যে যদি আপনি এটার পাসওয়ার্ড চান তাহলে এসব ধাপ অনুসরন করতে হবে। তো এখানে আপনার ঐ ধাপগুলো ফলো করার মতো ভুল করা ঠিক না।
এটা এই কারণেই যে অনেক সময় এরকম হয় যে ফাইল আপনি ডাউনলোড করেছেন সেটা Original File হয় না যেটা আপনার প্রয়োজন। অনেক সময় Hacker বা কোনো User যে ঐ Cracked Software তৈরি করেছে সে কোনো উল্টাপাল্টা ফাইল দিয়ে সেটা ZIP করে আপনাকে দিয়ে তার কাজ করিয়ে নেয়। তো এরকম Step Follow করা উচিত না।
আবার অনেকে তো আবার টাকা চায় ! বলে যদি আপনি এই ZIP ফাইলের পাসওয়ার্ড চান তাহলে এই পরিমাণ টাকা দিতে হবে এটার মাধ্যমে।
Seriously..? যদি টাকা দেওয়াই লাগে তাহলে Cracked Software Download করলাম কি দুঃখে ? এর থেকে তো Paid Software নেওয়াই ভালো ছিলো। যাইহোক! আপনার টাকা দিয়ে Cracked Software ব্যবহার করার কোনো দরকারই নাই এবং কোনো ঠ্যাকা পড়েনি।No – 5
যদি আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে দরকারী ডেটা থাকে, ফাইলস থাকে, ডকুমেন্ট থাকে, অনেক ফটো/ভিডিও যা খুব গুরুত্বপূর্ণ আর এমন অবস্থায় যদি আপনি আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে কোনো ধরনের Cracked Software Install করেন তাহলে ভাইয়া এখানে হয়ে যান সাবধান!
জ্বী ! আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে যে ডেটা আছে সেটা Corrupt হয়ে যেতে পারে, আপনার কম্পিউটারের যে Hard Disk আছে সেটা কাজ করা বন্ধ করতে পারে, কেননা অনেক সময় এমন যে Cracked Software এর ভেতর Malicious Code লাগিয়ে দেওয়া হয় যেটা কম্পিউটারের Hard Disk এ সরাসরি আক্রমণ করে। যার কারণে যার কারণে আমাদের কম্পিউটারে রাখা ডেটা Corrupt হয়ে যায়, খারাপ হয়ে যায়।
শুধু এটাই না এছাড়াও অনেক সময় আমাদের কম্পিউটারে Shortcut Virus ও চলে আসে। এখন যারা Shortcut Virus সম্পর্কে জানেন না তাঁরা আসলেই নরমাল ইউজার। তো ভাই যদি এই Shortcut Virus একবার আপনার কম্পিউটার সিস্টেমে যদি কোনো রকম চলে আসে তাহলে আপনার সমস্ত ডেটা খারাপ হয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে।
তো এই বিষয়টা আপনার সবসময় খেয়াল রাখা দরকার যদি আপনি কোনো ধরনের Cracked Software ব্যবহার করেন তাহলে। এখানে আমি Recommend করবো যদি আপনার কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় ডেটা থাকে, তাহলে সর্বপ্রথম আপনি সেই ডেটার Backup অন্য কোনো স্টোরেজ ডিভাইস, Hard Drive, Pen Drive ইত্যাদি তে রেখে তারপরেই আপনি Cracked Software ব্যবহার করুন।
কিন্তু যদি আপনি Backup না রাখেন তাহলে আপনাকে ঝুঁকি তো নিতেই হবে। এটা আপনার খেয়াল রাখতে হবে। আপনার কম্পিউটার সিস্টেমের কোনো ক্ষতি হোক এর থেকে তো ভালো এটাই যে টাকা দিয়ে Paid Version ব্যবহার করা।
আর যদি আপনার টাকা না থাকে তাহলে আপনি সেই Paid Software এর মতো, সেগুলোর Alternative Software পেয়ে যাবেন Free Version এ সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি Cracked Software ব্যবহার করতে চান সেখানে আপনাকে ঝুঁকি তো নিতেই হবে। তো এসব আপনার উপর নির্ভর করে যে আপনি Cracked Software ব্যবহার করবেন? নাকি Paid Software ব্যবহার করবেন ? নাকি সেগুলোর Alternative Software ব্যবহার করবেন ? আমার যেহেতু বিশেষ দরকারি ডেটা নাই তাই আমি অনেক সময় Cracked Software এবং Alternative Software ব্যবহার করি।
তো আজকের পোস্ট এই পর্যন্তই। সামনের বার থেকে আমি আর কোনো ধরনের পোস্ট নাও করতে পারি। আপনারা নিয়মিত TrickBD ভিজিট করুন নিজেও জানুন এবং আপনি যা জানেন সেটা অন্যদেরও জানান। Knowledge Share করাতেই বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুনঃ নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন
আরও পড়ুনঃ ফাইটন সিরাপ খাওয়ার নিয়ম | ফাইটন সিরাপ এর কাজ কি
এই পোষ্ট এতটুকুই ! এতক্ষণ সময় নিয়ে পোস্ট পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই, আল্লাহ হাফেজ।
কোনো সমস্যা অথবা কোনো প্রয়োজন হলে আমার Facebook I’d
The post Cracked Software ব্যবহার করলে কি কি ক্ষতি হতে পারে? এটার Advantages এবং Disadvantages কি কি ? appeared first on Trickbd.com.
0 মন্তব্যসমূহ