গুগলে এ চাকরী নিয়ে, আমাদের মনের মধ্যে যত জল্পনা, কল্পনা, সব এক পোস্টেই।

Ads Inside Post

গুগলে এ চাকরী নিয়ে, আমাদের মনের মধ্যে যত জল্পনা, কল্পনা, সব এক পোস্টেই।

আসসালামু আলাইকুম আশা করি সবাই ভাল আছেন আজকে আরো একটি টপিক নিয়ে আলোচনা করব যেটি আপনারা টাইটেল দেখে বুঝে গেছেন।

 

আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে google এ চাকরি নিয়ে তো এটা নিয়ে কিছু সামারি বলে নেই।

 

আমরা বিভিন্ন সময় ফেসবুক বা বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দেখে থাকি, যে অনেকের গুগলে চাকরি হয়েছে। এবং সেটা নিয়ে বিভিন্ন নিউজ করে এবং এটা দেখার পর আমাদের নিজেদের মনেও স্বাদ জাগে যে আমরা যেতে হতে পারতাম।

আসলে এটা হওয়াটা স্বাভাবিক এটা আমার মনের মধ্যে হয় এবং যারা ইন্টারনেট প্রযুক্তি এবং সোশ্যাল প্লাট ফর্ম প্রোগ্রামিং সম্বন্ধে বোঝে, এটা তাদের সবারই মনের আশা কারণ একবার  চাকরি হলে আমাদের অর্রথের সুখের অভাব থাকবে না।

তো আজকে এই বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে একটি আলোচনা করব এবং যে লেখাগুলো আছে এগুলো, আমি যেহেতু google এ চাকরি করি না তো আমার কথা আপনাদের কাছে ততটা না ভালো নাও হতে পারে এজন্য আমাদের জয়েনিং ফেসবুক  গ্রুপের এক বড় ভাই, তিনি একবার গুগলের চপের জন্য এপ্লাই করেছিলেন এবং তারপর তার অভিজ্ঞতা থেকে যে প্রশ্নগুলি বলেছে, সেগুলো আমি একটু সাজিয়ে গুছিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

প্রথমত গুগলে চাকরি করা নিয়ল যখন আমরা এই সম্বন্ধে কোন বিজ্ঞাপন বা অর্থাৎ কোনো নিউজ দেখি, তখন মনে মনে ভাবি এখানে জয়েন হতে হলে আমাদের অনেক অনেক দক্ষতা থাকতে হবে এটা ওটা আমাদের মনের মধ্যে অনেকরই জ্বালা শুরু হয়,

কিন্তু আমরা আসলে যতটা ভাবি এতে ততটা কঠিন না আমরা যে কথাগুলো ভাবি এগুলো আমাদের মনের উৎসাহ দেখে কমিয়ে দেয় এর কারণে যারা প্রোগ্রামিং শিখতে চান, প্রোগ্রামিং সম্বন্ধে ভালো বোঝেন যাদের মনে ইচ্ছা আছে প্রোগ্রামার হয়ে google এ চাকরি করার, তাদের মনের মধ্যে সকল খুনসুটি আসার কারণে তাদের ইচ্ছা শক্তিটা নষ্ট হয়ে যায়।

 

কিন্তু আমাদের যাদের ইচ্ছা আছে তাদের  চোখ খুলে মনের ওপর সব বল রেখে শক্তি রেখে আমাদের ইচ্ছে কে সামনে রেখে আমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে হবে।

 

তার কারণে আপনাদের মনের মধ্যে থাকা কিছু প্রশ্ন নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরে, মেইন পোস্টে চলে গেলাম।

গুগল এ জব নিয়ে অনেক প্রশ্ন ?

প্রশ্ন ১. গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে কি কি করতে হবে..?

গুগল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড একটা প্লাটফরম। সারাবিশ্বের প্রায় সবাই ই এই প্লাটফরম এ নিজেকে নিয়ে যেতে চায়। তবে এটার জন্য অনেক পরিশ্রম + অধ্যবসায় এর প্রয়োজন পড়ে। যারা ছোটবেলা থেকেই প্রোগামিং এ ভালো বা যাদের কোডিং করতে অনেক ভালো লাগে তারা এই প্রতিযোগিতায় অন্যদের থেকে একটু বেশীই এগিয়ে থাকে।

আসলে আমরা গুগল এর জব বলতে সাধারণত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকেই বেশি জানি। কিন্তু গুগল এ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও আরও ৫০+ জব আছে। আমরা সেইসব ব্যাপারে অনেকেই জানি না বা জানতেও চাই না।

তবে এই ব্যাপারে কথা বলতে গেলে পোস্টটা অনেক বড় হয়ে যাবে। যদি আপনি কোডিং এ অনেক পাকা হয়ে থাক, তাইলে গুগল আপনাকেই পছন্দ করবে।

প্রশ্ন ২. গুগল এ Apply করার জন্য মিনিমাম যোগ্যতা কি…??

উত্তর ২ : গুগল সহ বিশ্বে যতো বড় বড় জব প্লেস আছে, সেইগুলাতে সার্টিফিকেট কোন ভেরিফাইড করে না।

ধরুন আমরা যেমন যদি কোন চাকরি করি বা কোন জব খোঁজার চেষ্টা করি তাহলে কিন্তু অবশ্যই অবশ্যই আমাদের সার্টিফিকেট লাগে।

অর্থাৎ সেই চাকরিটি পেতে হলে প্রথমেই বলে যে আপনি কি পাশ করছেন?

বা আপনার সার্টিফিকেট যোগ্যতা কত?

অর্থাৎ বাংলাদেশের চাকরি ক্ষেত্রে সার্টিফিকেটটাকে প্রচুর গুরুত্ব দেওয়া হয় কিন্তু গুগলের ক্ষেত্রে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয় না!

গুগল শুধু দেখে আপনার দক্ষতা আপনার নলেজ! কারণ তারা জানে আপনার যদি দক্ষতা ঠিক থাকে যদি নলেজ ঠিক থাকে, তাহলে আপনি অবশ্যই সার্টিফিকেট পাবেন।

মোট কথা আপনার ভিতরে কতটুকু মেধা আছে সেটা। গুগল এ জব করার জন্য যে আপনাকে CSE বা Software Engineer বা বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এর হতে হবে তেমন টাও না।

আপনি যদি SSC বা HSC পাশ করেও কোডিং খুব ভালো ভাবে করতে পারেন, তাইলে তারা আপনাকে ডেকে নিবে। তাই বলা যেতেই পারে গুগল সহ বিশ্বের বড় বড় জব প্লেস গুলাতে সার্টিফিকেট এর থেকে ক্রিয়েটিভিটি দেখে।

তারা আপনাকে যাচাই করে নিবে আসলে আপনার মধ্যে কতোটুকু মেধা আছে কিছু সৃষ্টি বা কিছু বানানোর জন্য। যদি আপনি সেইদিক থেকে কোয়ালিফাই হন, তাইলে আপনি সেখানে টিকতে পারবেন।

প্রশ্ন ৩। গুগল এর জন্য কোন কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ জানা খুব বেশী দরকার..??

এটা অনেক সহজ সেইসাথে জটিল একটা প্রশ্ন। তার কারণ গুগল এর ইন্টার্ভিউ বোর্ড এ প্রশ্ন করা হয়,


আপনি প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর কোন ল্যাংগুয়েজ টা সবথেকে ভালো জানন। তখন কেউ C টা ভালো পারে আবার কেউবা C++ আবার কেউ জাভা আবার কেউ জাভা স্কিপ্ট আবার কেউ বা পাইথন যেটাই হোক না কেন,

 

ধরুন আপনি জাভাটা ভালো পারেন। তাইলে তারা আপনাকে জাভা থেকেই প্রশ্ন করবে, কখনো অন্য কোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ থেকে প্রশ্ন করবে না। তবে সেই প্রশ্ন গুলা এমন টাইপ এর হবে ঠিক যেমন, একটা খড়ের গাদার মধ্যে একটা সুঁই খোঁজার মতো অবস্থা।

তারমানে আপনাকে সেই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এতোটাই জানতে হবে যে সেটার মধ্যে কোন প্রকারের খুঁদ থাকা যাবে না।

প্রশ্ন ৪ গুগল এর ইন্টারভিউ বোর্ডটা কেমন…??

উত্তর ৪ : গুগল এ সবমিলে ৫টা স্টেপ থাকে। ( ১. সিলেকশন ২. ফোন ইন্টারভিউ ৩. ফোন ইন্টার্ভিউ ২ ৪. মক টেষ্ট ৫. লাস্ট সিলেকশন )।

প্রথম দুইটা ফোন ইন্টারভিউ এর সময় ৩০-৪৫ মিনিট এর হয়ে থাকে। গুগল ইঞ্জিনিয়ার রাই এই ভাইভা গুলা নিয়ে থাকে। ৩-৪ জন গুগল ইঞ্জিনিয়ার থাকে। আর মোট টেষ্টটা প্রাকটিকেল এ। নিজের হাতে সাদা একটা বোর্ড এ তাদের সামনে কোডিং লিখে দিতে হয়।

প্রশ্ন ৫. ভাইভা বোর্ড এ কি কি প্রশ্ন বেশী করা হয়ে থাকে..??

উত্তর ৫. ভাইভা বোর্ড গুলোতে সবথেকে বেশী প্রশ্ন করা হয়ে থাকে, ডাটা স্টার্কচার, ফ্লো চার্ট, এলগরিদম ( ৬৫% প্রশ্নগুলাই এই ৩টা টাইপ এর মধ্যে করা হয়ে থাকে ).

প্রশ্ন ৬. আমি কি গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবার স্বপ্ন দেখতে পারি..??

উত্তর ৬ : কেনো নয়। যদি আপনার মধ্যে স্কিল থেকে থাকে তাইলে আপনিও হতে পারবেন একজন গুগলার।

আমরা সবাই যেমন ভাবি যে, গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে গেলে মনে হয়, এলিয়েন টাইপ এর কিছু হতে হয়। এটা ভূল চিন্তা-ভাবনা।

প্রশ্ন ৭. গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হবার ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ টা কি..??

উত্তর ৭. যেহেতু আমি এখনো গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হতে পারি নি, তাই এই ব্যাপারে আমার থেকে পরামর্শ চাওয়াটাই বোকামি তবে হ্যাঁ যেহেতু একদম লাস্ট স্টেপ পর্যন্ত যেতে পেরেছি তাই এই ব্যাপারে আমার অনেকটাই ধারণা হয়ে গেছে।


সেইদিক থেকে বলতে চাই, বস হয়ে যেতে হবে প্রোগ্রামিং এ। চোখ কান বন্ধ করে দিনের মধ্যে ৬-৭ ঘন্টা শুধু প্রোগ্রামিং করে যেতে হবে আর সেই সাথে জটিল জটিল প্রব্লেম গুলার সমাধান এর ওয়ে খুঁজতে হবে আর সেই সাথে করতে হবে। যদি আপনি এইভাবে করতে থাকেন,তাইলে নিজের মধ্যেই অন্যরকম একটা শক্তি আবিষ্কার করে ফেলবেন। আর যখন সবকিছু করতে আনন্দ লাগবে, বোরিং না লেগে তখন ই ধরে নিবেন আপনি এখন স্কিল।

 

৮. একজন গুগল এর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন কতো বাংলাদেশি টাকায়..?

উত্তর ৮. সাধারণত গুগল এর একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার এর বেতন হয় ২০ হাজার USD মানে বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬ লাখ টাকা। সেই সাথে আর ও সম্মান বিশ্বজুড়ে। সেই সাথে গুগল এ জব করলে গুগল কোম্পানি থেকে মাথার চুল কাটা থেকে শুরু করে, খাওয়া দাওয়া ফ্রি দেওয়া হয়।

Image Copyright : Google

যতটুকু সম্ভব, এখানে সব বলার চেষ্টা করা হয়েছে, আসা করছি আপনাদের ভালো লাগবে, মুল তথ্য গুলো দিয়েছেন, Md: Sourav, যিনি গুগলে একবার জবের জন্য এপ্লাই করেছিলেন।

হ্যাকিং, বাগ বাউন্টি, বিভিন্ন টিপস এন্ড ট্রিকস, এন্ড্রয়েড অ্যাপস সহ সকল প্রিমিয়াম এপস এবং যাবতীয় প্রযুক্তি ইন্টারনেট বিষয়ে ইনফরমেশন পেতে টেলিগ্রাম চ্যানেলে যুক্ত হতে ক্লিক করতে পারেন।

তো সবাই ভালো থাকবেন।

~আল্লাহ হাফেজ।

The post গুগলে এ চাকরী নিয়ে, আমাদের মনের মধ্যে যত জল্পনা, কল্পনা, সব এক পোস্টেই। appeared first on Trickbd.com.






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ