ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকামের উপায় খোঁজেননা এমন মানুষ পাওয়া মুশকিল। শুধু ছাত্র জীবনে নয়, সারা জীবনই অনলাইন থেকে আয় করে জীবন কাটিয়ে দেওয়া সম্ভব। অনেকেই অনলাইনে ইনকাম করে কোটিপতি ও লাখপতি হচ্ছেন। কিন্তু কিভাবে?
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়টা আমরা অনেকেই জানিনা। কেউ কেউ তো আবার বিশ্বাসই করেনা যে অনলাইন থেকেও আয় করা যায়। অনলাইনে আবার কীভাবে আয় করে?
হুম, আসলে এটা মনে প্রশ্ন জাগার মতো। আসলে কিভাবে আয় হয়? কে টাকা দেয়? কেন দেয়? এরকম বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর আমরা জানিনা। তাই আমাদের মাঝে এই বিষয়টা নিয়ে একটা ধোঁয়াশা আছে।
ইন্টারনেট বা অনলাইন আয়ের কথা বলতে গেলে অনেক বিষয় সামনে আসে। অনেক উপায়ে আয় করা যায়। আমার পক্ষে সব বিষয়গুলো একটি পোস্টে লেখা সম্ভব নয়। তাই সবচেয়ে কমন ১১ টি বিষয় নিয়ে লিখছি।
কিভাবে অনলাইনে ইনকাম করা যায়?
অনলাইন বা ইন্টারনেটে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। কিন্তু আমরা শুধু সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো নিয়ে কথা বলবো।
তার আগে বলে রাখি, ইন্টারনেটে আয় করা কিন্তু একদিনেই সম্ভব নয়। এর জন্য আপনার প্রচুর ধৈর্য থাকতে হবে। মেধা থাকতে হবে।
একাত্বতার সাথে কাজ করে গেলে আপনি সফল হবেনই। আর এর মাধ্যমে মাসে লাখ টাকার বেশিও ইনকাম করা সম্ভব।
হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। ১ লক্ষ টাকারও বেশি কামানো সম্ভব। তবে তা এক দিনে নয়। দীর্ঘ সময় ও শ্রমের বিনিময়েই আপনি সেই টাকা আয় করতে পারবেন। আর তা একটি স্থায়ী আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।
অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় গুলো সম্পর্কে নিছে থেকে বিস্তারিত জানুন। প্রথমে এক নজরে দেখে নিন।
অনলাইনে ইনকাম করার ১১ টি উপায়
- ওয়েবসাইট থেকে
- ইউটিউব থেকে
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে
- ফ্রীল্যান্সিং করে
- ওয়েব ডিজাইন করে
- গ্রাফিক ডিজাইন করে
- কন্টেন্ট রাইটিং করে
- অ্যাপ প্রমোশন করে
- ফেসবুকের মাধ্যমে
- স্পনসর্ড বা পেইড পোস্ট করে
- ডোমেইন ব্যবসা করে
এবার চলুন কীভাবে এই ১১ টি উপায়ে অনলাইনে ইনকাম করবেন সেই সব উপায় জেনে নেই।
১. ওয়েবসাইট থেকে আয় করার উপায়
ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে আয় করা যায়। অনেকেই হয়তো জানেন। কিন্তু আবার অনেকেই জানেন না।
কেউ মনে করেন ভিজিটররা ওয়েবসাইটে ঢুকলে তাদের যে ডাটা বা এমবি (MB) কাটে সেটা ওয়েবসাইট মালিক পায়।
এটা সঠিক ধারণা নয়। আসলে আমি নিজেও প্রথমে এটাই মনে করতাম। কিন্তু না, আমার ধারণা ভুল ছিল। আসলে ওয়েবসাইটে কেউ ভিজিট করলে কোন ইন্টারনেট ডাটার খরচ ওয়েবসাইটের মালিক পায়না। উল্টো তার ওয়েবসাইটের ব্যান্ডউইথ খরচ হয়।
একটি ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করা যায়। নিচে সবচেয়ে জনপ্রিয় উপায়গুলো তুলে ধরা হলো।
- গুগল এডসেন্স এড
- অন্যান্য কোম্পানির এড বা বিজ্ঞাপন
- স্পনসরশীপ
- অ্যাফেলিয়েট মার্কেটিং
গুগল বা এডসেন্সের এড
আপনার ওয়েবসাইটে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে খুব সহজেই আয় করতে পারবেন। কেউ আপনার বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলেই আপনার এডসেন্সে ডলার জমা হবে।
এক্ষেত্রে প্রতি ক্লিকে ০.০১ থেকে ৪০ ডলারও পাওয়া যায়। কেউ আরো বেশিও পায়। আসলে ক্লিক প্রতি টাকার অংকটা আপনার টপিকের উপর নির্ভর করে।
আপনি কোন কীওয়ার্ড বা বিষয়ের উপর লিখছেন সেটার উপরেই ক্লিক প্রতি বিজ্ঞাপনের মূল্য নির্ধারিত হবে।
এক্ষেত্রে আরো কিছু বিষয়ও হিসেবে থাকে। যেমনঃ ভিজিটর কোন দেশের, তাদের ডিভাইস, অপারেটর, তাদের ইন্টারেস্ট বা আগ্রহ ইত্যাদি।
জনপ্রিয় কিছু কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলস ব্যবহার করে খুব সহজেই দামি কীওয়ার্ডগুলো খুঁজে বের করতে পারবেন। এর মধ্যে কিছু ফ্রী ও পেইড কীওয়ার্ড রিসার্চ টুলসের নাম জেনে নিন।
- ahrefs (পেইড)
- SEMrush (ফ্রী ও পেইড)
- Ubersuggest (ফ্রী ও পেইড)
- Moz (ফ্রী ও পেইড)
- Keyword tool (ফ্রী ও পেইড)
- কিছু ভুলের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স
কিছু ভুলের মাধ্যমে গুগল এডসেন্স সবাই পায়না।
অন্যান্য কোম্পানির এডের মাধ্যমে
গুগল এডসেন্স ছাড়াও আরো কোম্পানি আছে। তাদের এড ব্যবহার করেও আয় করতে পারবেন। এছাড়াও আপনার লোকাল কোনো কোম্পানির এড দিয়ে আয় করতে পারবেন।
তাদের সাথে যোগাযোগ করে বিজ্ঞাপন নিতে পারেন। আবার, আপনি ভালো কন্টেন্ট তৈরি করতে পারলে তারাই আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। এভাবে এডসেন্সের থেকেও বেশি ইনকাম করা যায়।
অ্যাফিলিয়েট ও স্পন্সরশীপ নিয়ে নিছে আলাদা করে আলোচনা করা হলো।
২. কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করবেন
যারা ইউটিউবিং করে তাদেরকে ইউটিউবার বলে। ইউটিউব থেকেও ইনকাম করা যায়। হুম, সত্যি। ইউটিউব থেকে খুব ভালো অংকের টাকা আপনিও আয় করতে পারবেন।
ইউটিউব থেকেও এডসেন্সে মাধ্যমে আয় করা যায়। এই পোস্ট লেখার সময় পর্যন্ত ইউটিউবের মনিটাইজেশন পাওয়ার কিছু শর্ত হলোঃ
- নিজের তৈরি কন্টেন্ট হতে হবে।
- চ্যানেলে কমপক্ষে ১,০০০ সাবস্ক্রাইবার হতে হবে।
- সর্বশেষ ১ বছরে চ্যানেলের ভিডিও ৪,০০০ ঘন্টা দেখা হতে হবে।
উপরের শর্রগুলো পূরণ করতে পারলে আপনি ইউটিউব মনিটাইজেশন পাবেন। আর আরামছে ইউটিউব থেকে এডসেন্সের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন।
কোন কোন উপায়ে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারবেন সেই তালিকাটা দেখুন। এখানে শুধু সবচেয়ে কমন ও জনপ্রিয় উপায়গুলো দেওয়া হলো।
- ইউটিউব এডসেন্স
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- স্পন্সরশীপ
- প্রোডাক্ট রিভিউ
- নিজের প্রোডাক্ট বা পণ্য বিক্রি করে
৩. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন ইনকাম
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি? বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য একটা বিশেষ লিংকের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়াই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। বিভিন্ন অনলাইন শপ ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান আছে। যাদের পণ্য বিক্রি করে দিলে তারা কমিশন দেয়। যেমনঃ অ্যামাজন, বাগডুম, বিডি শপ ইত্যাদি।
আপনি ওয়েবসাইট, ইউটিউব বা ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আপনি ভালো কোম্পানিগুলো খুঁজে বের করুন। ২-৩ সাইটের বেশি ওয়েবসাইট না নেওয়াই ভালো।
সেরা দুই-তিনটা কোম্পানি বেছে নিন। যাদের জনপ্রিয়তা ভাল, ভালো পেমেন্ট দেয়, যাদের পণ্য আপনার ওয়েবসাইট এরিয়ায় ভালো বিক্রি হয় ইত্যাদি।
এক্ষেত্রে আপনার ইউটিউব বা ওয়েবসাইট ইংরেজিতে হলে অ্যামাজন বেছে নিতে পারেন। বিশ্বের বর্তমানে তারা অনেক বড় কোম্পানি ও খুব ভালো পেমেন্ট দেয়।
আর বাংলা সাইট বা ইউটিউব হলে, অর্থাৎ আপনার ভিজিটর বা ভিউয়াররা বাংলাদেশি হলে এটা না বেছে নেওয়াই ভালো। কারণ, এই পোস্ট লেখা পর্যন্ত অ্যামাজন বাংলাদেশে পণ্য ডেলিভারি দেয়না।
কিন্তু, তারা ইতিমধ্যেই সরকারের সাথে ব্যবসা করার জন্য আলোচনা করেছেন। সরকার তাদেরকে কিছু শর্ত বেঁঁধে দিয়েছে। হয়তো ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশে ব্যবসা শুরু করতে পারে। তখন আপনি অ্যামাজন বেছে নিতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে আয় ( অনলাইন ইনকাম )
আপনার ইউটিউব ভিডিও, ওয়েবসাইট বা ফেসবুকে কাঙ্ক্ষিত প্রোডাক্টের রিভিউ করুন। আর সাথে অ্যাফিলিয়েট লিংকটি দিয়ে দিন। এক্ষেত্রে অবশ্যই ভালো পণ্যগুলোই বেছে নিন।
তাহলে রিভিউ দেখে মানুষ পণ্যটি কিনতে চাইবে। আর এই লিংকের মাধ্যমে কেউ পণ্য বা সেবাটি কিনলে আপনি নির্দিষ্ট একটি কমিশন পাবেন। সাধারণত, ৩-৩০% কমিশন হয়ে থাকে।
অ্যাফিলিয়েট লিংক সাধারণত অনেক বড় হয়। এটিকে ছোট করতে লিংক শর্টনার ব্যবহার করুন। এক্ষেত্রে বিটলি (bit.ly) ব্যবহার করতে পারেন।
৪. ফ্রীল্যান্সিং করে অনলাইনে ইনকাম
আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং মোটামুটি একই রকম। আপনি ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইটে ফ্রীল্যান্সার হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন করে কাজ করতে পারেন।
কোনো ক্লায়েন্ট আপনাকে আপিনার দক্ষতা অনুযায়ী কাজ দিবে। আপনি তার বা তাদের কাজটি করে দিলে তারা আপনাকে পেমেন্ট দিবে। এক্ষেত্রে পেমেন্টটি ফ্রীল্যান্সার ওয়েবসাইট কর্তীক নিয়ন্ত্রিত হয়।
ফ্রীল্যান্সিংয়ে কী কাজ?
ফ্রীল্যান্সিংয়ে কাজের ক্ষেত্র অনেক বিশাল। এখানে সবগুলো উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে কিছু কমন কাজের কথা বলা যেতে পারে। সেগুলো হলোঃ
- ভিডিও এডিটিং
- ওয়েব ডিজাইন
- এসইও ও ব্যাকলিংক তৈরি
- গ্রাফিক ডিজাইন
- কন্টেন্ট রাইটিং
- ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট
বিশ্বে অনেকগুলো ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট আছে। এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন। এখানে সবচেয়ে জনপ্রিয় কিছি ওয়েবসাইটের নাম দেওয়া হলো।
- ফ্রীল্যান্সার
- আপওয়ার্ক
- ফাইভার (বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়)কাজ কী (বাংলাদেশি ওয়েবসাইট)
ফ্রীলেন্সিং এর সুবিধা
আউটসোর্সিং বা ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা হলো আপনার স্বাধীনতা। এখানে কোনো ধরাবাঁধা নেই। আপনি যখন চাইবেন কাজ করবেন। যখন মনে চাইবেনা, করবেন না।
এর দ্বারা আপনি দেশের র্যামিটেন্স বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে দেশকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
৫. ওয়েব ডিজাইন করে আয়
ফ্রীল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ওয়েব ডিজাইন করে আয় করতে পারবেন। ফ্রীল্যান্সিং সাইট থেকে ওয়েব ডিজাইনের কাজ খুঁজে নিন। আর ক্লায়েন্টকে কাজ বুঝিয়ে টাকা নিন।
এছাড়াও আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউবের মাধ্যমেও অর্ডার গ্রহণ করতে পারবেন।
৬. গ্রাফিক ডিজাইন করে অনলাইনে ইনকাম
গ্রাফিক ডিজাইন করেও আপনি অনলাইনে ইনকাম করতে পারেন। ক্লায়েন্টের বিভিন্ন ব্যানার, ভিজিটিং কার্ড, ওয়েবসাইটের লোগো, বইয়ের কভার ডিজাইন ইত্যাদি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন।
এর মাধ্যমেও প্রচুর টাকা আয় করা যায়। আপনি অর্ডার পাওয়ার জন্য ফ্রীল্যান্সার ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া অফলাইনেও এই কাজটির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।
৭. কন্টেন্ট রাইটিং করে অনলাইনে ইনকাম
পৃথিবীতে কোটি কোটি ওয়েবসাইট আছে। সব ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখার প্রয়োজন হয়। সবসি কিন্তু গুছিয়ে পোস্ট লিখতে জানেনা। তাই ওয়েবসাইট মালিক ভালো একজন কন্টেন্ট রাইটার খোঁঁজে।
যারা টাকার বিনিময়ে অন্যের ওয়েবসাইটে পোস্ট লিখেন তারাই হলেন কন্টেন্ট রাইটার। আমি নিজেও একজন কন্টেন্ট রাইটার।
কন্টেন্ট রাইটাররা খুব ভালো এসইও ফ্রেন্ডলি পোস্ট করতে জানেন। তাই ওয়েবসাইটের মালিকরা গুগল থেকে ফ্রী অর্গানিক ভিজিটর পাওয়ার জন্য কন্টেন্ট রাইটারদের দিয়ে পোস্ট লেখায়।
এক্ষেত্রে কন্টেন্ট রাইটাররা একটি পোস্টের জন্য ১০০ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত পেয়ে থাকে। আপনিও এই কাজটি করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।
অযথা ইন্টারনেট ব্রাউজ করে সময় নষ্ট না করে এই কাজটি করুন। টাকাও পাবেন আর অনেক কিছু শিখাও হবে।
৮. অ্যাপ প্রমোশন করে ইন্টারনেটে আয়
আপনি কোনো কোম্পানির অ্যাপ প্রমোশন করেও আয় করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ফেসবুক, ইউটিউব বা ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে পারেন। অ্যাপ প্রমোশন করে ঐ কোম্পানি থেকে ভালো একটা এমাউন্ট আয় করতে পারবেন।
৯. ফেসবুকের মাধ্যমে অনলাইনে আয়
ফেসবুকে অযথা সময় নষ্ট না করে কিছু টাকা আয় করুন। ফেসবুকেও ইউটিউবের মতো মনিটাইজেশন করে টাকা আয় করা যায়।
এজন্য একটা ফেসবুক পেজ লাগবে। সেই পেজে কমপক্ষে ১ হাজার লাইক থাকতে হবে। আর ভিডিও কমপক্ষে ৩ মিনিটের হতে হবে। নির্দিষ্ট ফেসবুক পেইজটিতে আপলোডকৃত সব গুলো ভিডিও মিলিয়ে সর্বশেষ ৬০ দিনে সর্বমোট ভিউয়ার সংখ্যা কমপক্ষে ৩০ হাজার হতে হবে ইত্যাদি।
মনিটাইজেশন পেলে আপনার পেজের ৩ মিনিটের বড় ভিডিওগুলোতে এড শো হবে। সেই এড থেকে আপনি টাকা পাবেন।
ফেসবুকে রিসেল
এছাড়াও আপনি প্রোডাক্ট রিসেল করেও আয় করতে পারবেন। বাংলাদেশের জনপ্রিয় রিসেল শপ হচ্ছে শপ আপ (Shopup.com.bd)।
রিসেল খুবই সহজ একটি সিস্টেম। আপনি রিসেলিং শপে নির্দিষ্ট দামে পণ্য সংগ্রহ করে আপনার পছন্দমতো দামে বিক্রি করতে পারবেন।
এক্ষেত্রে অবশ্যই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের কথা মাথায় রাখুন। ভোক্তাদের প্রতি যাতে অবিচার না হয় সেই ব্যাপারে সচেষ্ট থাকুন। সীমিত লাভে পণ্য বিক্রি করে অনলাইন ক্যারিয়ার গড়ুন।
এছাড়াও আপনি ওয়েবসাইটেও রিসেল করতে পারেন। ফেসবুকেও ওয়েবসাইটের মতো অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন।
১০. স্পনসর্ড বা পেইড পোস্ট করে অনলাইনে ইনকাম
আপনার ওয়েবসাইটে ও ইউটিউবে স্পন্সর নিয়েও আয় করতে পারেন। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইটে পেইড বা স্পন্সরড পোস্ট করে আয় করতে পারেন।
১১. ডোমেইন ব্যবসা করে
অনেকের কাছেই এই বিষয়টি নতুন মনে হতে পারে। আসলে ডোমেইন ব্যবসা সম্পর্কে আমিও কিছুদিন আগে জানতাম না। এটিও মোবাইলে অনলাইনে আয় করার বড় একটি মাধ্যম।
এক্ষেত্রে যারা এই কাজটি করেন তাদেরকে ডোমেইনার বলে। ডোমেইনাররা বিভিন্ন ডোমেইন নিজেদের নামে রেজিষ্ট্রেশন করে রাখেন। পরবর্তীতে সেটি ভালো মূল্যে বিক্রি করেন।
শুনলে অবাক হবেন। একটি ডোমেইন কয়েক কোটি টাকায়ও বিক্রি হয়। কিন্তু ডোমেইনাররা যখন রেজিষ্ট্রেশন করেন তখন রেজিষ্ট্রেশন ফি ৭০-৩০০০ টাকা এর মধ্যে হয়ে থাকে। অর্থাৎ এই ব্যবসাটি একটি ইনভেস্টমেন্ট ব্যবসা।
১২. ফরেক্স ট্রেডিং
ফরেক্স ট্রেডিংয়ের মাধ্যমেও অনলাইনে ইনকাম করা যায়। তবে এটি একটি উচ্ছ ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা হিসেবে পরিচিত। কারণ, এখানে লাভ হলেও খুব বেশি পরিমাণে হয় আবার লস হলেও খুব বেশি পরিমাণে হয়।
তাই ফরেক্স ট্রেডিং করার আগে এ বিষয়ে খুব ভালো ধারণা থাকতে হয়। তাই এই ব্যবসা করার আগে ফরেক্স ট্রেডিং কি? কিভাবে করে? এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিতে হবে। (আমি নিজেই এটা নিয়ে খুব শীঘ্রই আলোচনা করবো)
অনলাইনে আয় বিকাশে পেমেন্ট
ফাইভার বা আপওয়ার্কে কাজ করলে আপনি বিকাশে পেমেন্ট পাবেন না। কারণ এরা বিদেশি কোম্পানি। কিন্তু বাংলাদেশি ফ্রীল্যান্সিং সাইটে কাজ করলে অনলাইনে আয় করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
আশা করি পোস্টটি ভালো লেগেছে। কারো কোনো কিছু বুঝতে অসুবিধা হলে কমেন্ট বক্সে জানান। উপরে উল্লেখ করা টপিক গুলো নিয়ে ইন্টারেস্ট থাকলে কমেন্টে জানান আমি সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
The post অনলাইনে ইনকাম করার সবচেয়ে সহজ ১১টি উপায় appeared first on Trickbd.com.
0 মন্তব্যসমূহ