সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে চেক করে নিন সেটাতে কোনো জিডি করা হয়েছে কি না!!

Ads Inside Post

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে চেক করে নিন সেটাতে কোনো জিডি করা হয়েছে কি না!!

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সকলেই ভালো আছেন। আজকে আবারো আপনাদের সাথে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আজকে কি নিয়ে কথা বলবো তা নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন টাইটেল দেখে। আজকে আমি আপনাদের কে দেখাবো কিভাবে আপনারা বুঝবেন আপনার ফোনটির বিরুদ্ধে কোনো আইনি মামলা আছে কি না।

অনেক সময় অনেকেই Pre owned বা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনে থাকেন। কেউ কেউ বক্স সহ কিনে থাকেন আবার অনেকেই কম দামে পাওয়ায় বক্সের বিষয়টি ভুলে যান। এতে কিন্তু পরে আপনারই সমস্যা হওয়ার ঝুকি বাড়ে। ধরুন এমন হলো যে আজকে একটা সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনলেন আর ৭-৮ দিন পরে এসে পুলিশ আপনাকে থানায় নিয়ে আসলো এটা বলে যে এই ফোনটা চুরি হওয়া ফোন।

আপনি কোনো মতে পুলিশদের বুঝাতে সক্ষম যদি হন ও যে এটা আপনি অন্য কারো থেকে কিনেছেন, তাও কিন্তু আপনাকে যে এতটা হ্যারাস হতে হলো, তার উপর ফোনটা যে টাকা দিয়ে কিনেছিলেন সেটাও জলে গেলো। এমন হলে কিন্তু আপনারই বিপদ। তবে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা সমাধান আজকে আপনাদের কাছে নিয়ে এসেছি। আজকের পোস্টটি ঠিক মতো পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কোনো ফোন চুরির ফোন কি না।

 

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন চুরি করা ফোন কি না জানার জন্য কি কি লাগবে

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন চুরি করা ফোন কি না জানার বেশি কিছু লাগবে না। এখানে আপনার শুধু হাতে একটা এক্সট্রা ফোন থাকা লাগবে যেটাই নেট কানেকশন থাকবে। আর যে সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কিনতে যাচ্ছেন সেটার IMEI নাম্বার জানা লাগবে। তবে যে ফোন কিনবেন সেটার বক্স যদি না থাকে তাহলে IMEI নাম্বার জানার জন্য উক্ত ফোনটা হাতে নিয়ে ডায়াল প্যাড ওপেন করে *#06# ডায়াল করবেন (সিম না থাকলেও হবে)। এটা ডায়াল করার সাথে সাথেই IMEI নাম্বার শো করবে।

 

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন চুরি করা ফোন কি না চেক করার উপায়

সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন চুরি করা ফোন কি না জানার জন্য আমাদের কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে। আর এটা করার জন্য আপনার হাতে একটা ফোন থাকা লাগবে যেটায় নেট কানেকশন (ডেটা বা ওয়াইফাই) থাকবে। তো এবার সেই সেগুলো আমি নিচে বলে দিচ্ছি, আপনারা সেগুলো আপনারা ফলো করুন।

১. প্রথমেই ফোনের যেকোনো ব্রাউজার ওপেন করে নিন। ভালো হয় যদি ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করেন। তো ব্রাউজার ওপেন করে imei.info এই লিংক এ চলে যান।

 

২. এই ওয়েবসাইটে যাওয়ার পর আপনাদের সামনে একটা পেজ ওপেন হবে। সেখান থেকে যাস্ট একটু স্ক্রল করলেই নিচের স্ক্রিনশট এর মতো একটা বক্স দেখতে পাবেন। সেই বক্সে একটা IMEI নাম্বার দিতে হবে। এখানে যে ফোনটি কিনতে যাচ্ছেন সেটার IMEI নাম্বার দিয়ে দিবেন। এবং পাশের Check বাটনে ক্লিক করে দিবেন।

[বিদ্রঃ যেকোনো *#06# ডায়াল করলে IMEI নাম্বার শো করে। আর এটা ডায়াল করলে ২ টা IMEI নাম্বার আসে। সেখান থেকে যে কোনো একটা নাম্বার ওই বক্সে দিবেন। ভালো হয় যদি ১ম টা নেন।]

 

৩. এরপর আপনাদের ফোনে নিউ পেজ ওপেন হবে সেখানে ঐ ফোনের (যে ফোনের IMEI নাম্বার দিলেন) সব তথ্য শো করবে। চাইলে সেগুলো দেখে নিবেন। [এর ফলে বুঝতে পারবেন ফোনটা কপি না অরজিনাল] তো আমাদের মেইন কাজ ফোনটি চুরি করা ফোন কি না তা জানা। এর জন্য নিচের দিকে স্ক্রল করবেন। (অনেকটা নিচে যাওয়া লাগবে)। তাহলে নিচের স্ক্রিনশট এর মতো দেখতে পাবেন। সেখানে ক্লিক করে দিবেন।

 

৪. এরপর আরেকটি পেজ ওপেন হবে। সেখানে একটু স্ক্রল করলে নিচের মতো দেখতে পাবেন। সেখানে আগে থেকেই IMEI নাম্বার দেওয়া থাকবে (যদি উপরের ৩ টা স্টেপ ভালোভাবে ফলে করে থাকেন)। সেখানে আপনারা Check Lost / Stolen Status এ ক্লিক করে দিবেন।

 

৫. এরপর নতুন আরেকটি ইন্টারফেজ আসবে। সেখানে যদি নিচের স্ক্রিনশট এর মতো লেখা থাকে This Device is not reported in IMEI.info তাহলে বুঝবেন এই ফোন নিয়ে পুলিশের কাছে কোনো জিডি করা হয় নি।

 

৬. উপরের ঐটা দেখার পরেও আমরা আরেকটু শিওর হওয়ার জন্য একটু নিচে নামলে নিচের স্ক্রিনশট এর মতো দেখতে পাবো। সেখান যদি Device is clean এ টিক দেওয়া থাকে আর Reported এ ক্রস দেওয়া থাকে তাহলে বুঝবেন সব ঠিক আছে।

 

IMEI দিয়ে এভাবে চেক করলে কতটুকু সত্য তথ্য পাওয়া যাবে

IMEI দিয়ে এভাবে চেক করলে কতটুকু সত্য তথ্য পাওয়া যাবে এটা আপনাদের খুব কমন একটা প্রশ্ন। তো চলুন এবার এই বিষয়টা আপনাদের ক্লিয়ার করে দেওয়া যাক।

যখন কোনো ফোন চুরি হয় বা ছিনতাই হয় তখন ফোনের মালিক পুলিশের কাছে জিডি করতে গেলে পুলিশরা তাকে আশে পাশের কোনো কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে অনলাইনে জিডি করতে বলে। তো যখন অনলাইনে জিডি করা হয়, তখন সেই কম্পিউটারের দোকানদার তাকে ফোনের বক্স এবং সেই ব্যক্তির NID কার্ড চায়।

এর কারণ হলো, জিডি করার সময় ফোনের IMEI দেওয়া লাগে (যেটা ফোনের বক্সে দেওয়া থাকে) এবং যে জিডি করবে তার NID কার্ড থেকে নাম্বার নেয়। এর ফলে এটা বুঝানো হয় যে ঐ ফোনের মালিক আর এই NID কার্ডের মালিক একজন। আর আপনাদের তো দেখালাম যে IMEI নাম্বার দিলে ফোনের পুরো ইনফরমেশন চলে আসে। তো এইটা আবার পুলিশদের হেল্প করে ফোন খুজে বের করতে।

এইটুকু কাজ অনলাইনে করা লাগে। বাকি কাজ পুলিশের। তবে এখানে যে অনলাইনে কাজ করা হলো, এর ফলে ঐ ফোনের উপর একটা রিপোর্ট চলে গেলো। আর সেই রিপোর্ট যদি চলে যায় তাহলে সেটা উপরে যে স্টেপ দেখালাম সেখানে শো করবে। আর দেখাবে Device is not clean. তখন বুঝতে হবে এই ফোন সম্পর্কে অন্য কেউ জিডি করেছে। আশা করি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।

 

শেষ কথা

তো এই ছিলো আজকের পোস্ট। আশা করবো আপনাদের এটা কোনো না কোনো দিন কাজে লাগবে। আর আপনাদের সাথে উক্ত সমস্যা এর আগে কখনো হয় থাকলে তা কমেন্টে জানাবেন, এতে অন্যদের একটু অভিজ্ঞতা হবে বিষয়টা নিয়ে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে। সে পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।

The post সেকেন্ড হ্যান্ড ফোন কেনার আগে চেক করে নিন সেটাতে কোনো জিডি করা হয়েছে কি না!! appeared first on Trickbd.com.






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ