বর্তমান সময়ে ওয়েব হোস্টিং এর চাহিদা অনেকটা আকারে বেড়ে গেছে মূলত তার কারণ হচ্ছে মানুষ তাদের ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন তথ্য মানুষদের কাছে পৌঁছায় দেয়ার জন্য ব্যবহার করতেছে ওয়েব হোস্টিং। আমাদের মধ্যে এমনও মানুষ আছে যারা ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ওয়েব হোস্টিং কি তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।
তাই আপনি যদি ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য পেতে চান তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে আশা করি আপনি ওয়েব হোস্টিং কি তা বিস্তারিতভাবে জেনে যাবেন।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আমরা অনেকেই আমাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের জন্য হোস্টিং অথবা ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করে থাকি। আবার এমন মানুষ আছেন যারা ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে তেমন কিছু জানেনা তবে ওয়েভ হোস্টিং সম্পর্কে সঠিক তথ্য খুঁজে বেড়ায়।
এই সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমি ওয়েব হোস্টিং কি তা নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব। এই সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়লে আশা করি আপনি ওয়েভ হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেতে সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার অনুরোধ রইলো।
ডোমেইন ও হোস্টিং কি
ডোমেইনঃ সাধারণত ডোমেইন হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের নাম। এক কথায় বলতে গেলে এই ডোমেইন ব্যবহারকৃত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ওয়েব ব্রাউজারে নানান ধরনের তথ্য খুঁজে পান সকল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে ডোমেইন হচ্ছে একটি ওয়েবসাইটের নাম। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মানুষ বিভিন্ন ধরনের তথ্যসমূহ পেয়ে থাকে। সাধারণত ডোমেনের নাম শুরু হয় www দিয়ে।www এর অর্থ হচ্ছে world wide web এবং সর্বশেষে বসানো হয় .com। সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের আইপি এড্রেস থাকে।
অর্থাৎ এই আইপি অ্যাড্রেসটি দিয়ে আপনি ওয়েবসাইটটি দেখতে পারবেন। এক কথায় আপনি যদি ওয়েবসাইটের নাম অথবা আইপি এড্রেস মনে রাখতে পারেন তাহলে ডোমেনের নাম ছাড়াও আপনি ওয়েবসাইট খুঁজে পাবেন। সাধারণত ডোমেনের এক্সটেনশন বলা হয় .com কে।? অর্থাৎ www.trickbd.com, এখানে trickbd হচ্ছে নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের নাম এবং .com হচ্ছে এক্সটেনশন। আরেকটি কথা মনে রাখবেন যে প্রত্যেকটা ডোমেন আলাদা আলাদা নামের হয়ে থাকে। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ডোমেন কি।
হোস্টিংঃ সাধারণত হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি জায়গা অথবা মাধ্যম যেখানে বিভিন্ন ফাইল সংরক্ষণ করে রাখা হয়। এবং পরবর্তীতে উক্ত ফাইলগুলো এক্সেস করা যায় পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে ২৪ ঘন্টা দ্রুত গতি সম্পন্ন ইন্টারনেট সংযোগ ও সার্ভার সচলভাবে রাখার জন্য হোস্টিং ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আপনার কাছে যদি 50 জিবি হোস্টিং থাকে তাহলে আপনি তথ্য অথবা ফাইল ৫০ জিবি রাখতে পারবেন। আপনার ব্যবহারিত অথবা আপনার ওয়েবসাইটের যতগুলো ফাইল তথ্য এই হোস্টিং এর মধ্যে রাখা হয়।
সহজ ভাষায় যদি বলি তাহলে আপনার বিভিন্ন ফাইল অথবা ভিডিও অথবা বিভিন্ন তথ্য রাখার জায়গা হচ্ছে হোস্টিং। আপনার হোস্টিং যত বেশি হবে তত বেশি ফাইল অথবা ভিডিও রাখতে পারবেন। সাধারণত হোস্টিংয়ের মধ্যে ফাইল রাখলে পৃথিবীর যেকোনো মানুষ সেই তথ্যগুলো খুঁজে পাবে খুব সহজেই এবং এই তথ্যগুলো ২৪ ঘন্টা লাইভ আকারে থাকবে এবং মানুষ খুঁজে পাবে। তাহলে আশা করি বুঝতে পেরেছেন হোস্টিং কি।
ওয়েব হোস্টিং কি
সাধারণত একটি ওয়েবসাইটের জন্য স্থান প্রদানের জায়গা হচ্ছে ওয়েব হোস্টিং। দেখেন ধরেন আপনি একটা ওয়েবসাইট বানাবেন ঠিক করছেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে ওয়েব হোস্টিং সম্পর্কে জানতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাধারণত ওয়েভ হোস্টিং বলা হয় ওয়েবসাইটের জায়গাকে। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে কোন প্রকারের ফাইল অথবা তথ্য রাখতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটে জায়গা দরকার। জায়গা না থাকলে আপনার ওয়েবসাইটে কোন ফাইল রাখতে পারবেন না। আর আপনার ফাইল থাকলে আপনার ওয়েবসাইট রেখে কোন লাভ নাই।
সে ক্ষেত্রে আমরা যদি হোস্টিং প্রোভাইডার এর কাছ থেকে হোস্টিং কিনি তখন তারা আমাদের ওয়েব সার্ভারে কিছু জায়গা দিয়ে দেয়। এবং ওই ওয়েব সার্ভার সব সময় অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রকারের ফাইল, কনটেন্ট, মুভি অথবা বিভিন্ন ছবি আপলোড করি তাহলে সেই ছবিগুলো পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে যে কোন মানুষ এক্সেস করতে পারবে এবং ফাইল গুলো দেখতে পাবে।
আর সাধারণত আমরা যে ফাইলগুলো আপলোড করি সেগুলো আমাদের ওয়েব হোস্টিং এ জমা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ওয়েভ হোস্টিং 24 ঘন্টা মানুষের কাছে আপনার বিভিন্ন ফাইল অথবা কনটেন্ট পৌছিয়ে দেয়। যার কারণে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে থাকা মানুষ আপনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো জানতে পারে। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ওয়েব হোস্টিং কি।
হোস্ট কি
ওয়েবসাইট হোস্টিং কি
এমন একটি প্রসেস যার মাধ্যমে কোন নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের বিভিন্ন ফাইল অথবা বিভিন্ন কনটেন্ট ওয়েবসাইটের স্টোরেজ করে। তারপরে ওয়েবসাইট হোস্টিং সব সময় অর্থাৎ ২৪ ঘন্টা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে। সে ক্ষেত্রে যদি আমাদের ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রকারের ফাইল, কনটেন্ট, মুভি অথবা বিভিন্ন ছবি আপলোড করি তাহলে সেই ছবিগুলো পৃথিবীর যে কোন জায়গা থেকে যে কোন মানুষ এক্সেস করতে পারবে এবং ফাইল গুলো দেখতে পাবে।
আর সাধারণত আমরা যে ফাইলগুলো আপলোড করি সেগুলো আমাদের ওয়েবসাইট হোস্টিং এ জমা হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট হোস্টিং 24 ঘন্টা মানুষের কাছে আপনার বিভিন্ন ফাইল অথবা কনটেন্ট পৌছিয়ে দেয়। যার কারণে পৃথিবীর যে কোন প্রান্তে থাকা মানুষ আপনার নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো জানতে পারে। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন ওয়েবসাইট হোস্টিং কি।
হোস্টিং এর প্রকারভেদ
- শেয়ারর্ড হোস্টিং
- ভিপিএস হোস্টিং
- ডেডিকেটেড সার্ভার
- রিসেলার হোস্টিং
শেয়ারর্ড হোস্টিং কি
সাধারণত শেয়ারর্ড হোস্টিং হলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটের হোস্টিংকে শেয়ার করার একটি মাধ্যম। তার মানে হচ্ছে আপনি বিভিন্ন ওয়েব সার্ভারে অনেকগুলি ওয়েবসাইট শেয়ার করতে সক্ষম হবেন। এক্ষেত্রে আপনার সুবিধা হচ্ছে এই হোস্টিং এর মাধ্যমে আপনি যদি বিভিন্ন ওয়েবসাইটের সাথে শেয়ার করেন তাহলে এই হোস্টিং এর টাকা আপনাকে একা একা দিতে হবে না। ধরেন একটা উদাহরণ দিই আপনি এবং আপনার কয়েকজন ফ্রেন্ড মিলে একটা বাসাতে থাকছেন।
আপনি যদি একাই একটা বাসাতে থাকতেন তাহলে আপনাকে একাই বাসা ভাড়া দিতে হতো কিন্তু আপনি যদি আপনার কয়েকজন ফ্রেন্ড নিয়ে থাকেন তাহলে সবাই মিলে ভাগাভাগি করে রুমের ভাড়া দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার টাকাও কম লাগবে তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন শেয়ার হোস্টিং সম্পর্কে। আপনি চাইলে অনেক কম দামে এই হোস্টিংটি ক্রয় করতে পারেন। সাধারণত শেয়ার হোস্টিং এমন লোকেরা ব্যবহার করেন যাদের নতুন ব্লগ অথবা ওয়েবসাইট রয়েছে।
শেয়ারর্ড হোস্টিং এর কিছু লাভ রয়েছে যেমন, খুবই অল্প দামে হোস্টিং আপনি ক্রয় করতে পারবেন, তার সাথে সাথে যদি আপনার নতুন ওয়েবসাইট হয় তাহলে এটি আপনার জন্য সেরা হোস্টিং হবে, আপনি চাইলে শেয়ারর্ড হোস্টিং ৫০ ডলার থেকে শুরু করে ২০০ ডলারের মধ্যে ভালো পরিমাণের হোস্টিং কিনতে পারবেন। এছাড়াও অনেক অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ফ্রিতেই শেয়ারর্ড হোস্টিং প্রদান করে থাকে।
ভিপিএস হোস্টিং কি
ভিপিএস হোস্টিং মূলত শেয়ার হোস্টিং এর থেকে আমি বলব হাজার হাজার গুনে ভালো। সাধারণত এই ভিপিএস হোস্টিং আমরা তখনই ব্যবহার করি যখন আমাদের ওয়েবসাইটে অনেক ট্রাফিক অথবা ভিজিটর আসে। সহজ কথায় যদি বলতে যাই আমাদের ওয়েবসাইট যখন পপুলারিটি পেয়ে যায় অর্থাৎ পপুলার হয়ে যায় তখন আমরা এই হোস্টিং টি ব্যবহার করি। আমার মতে VPS হোস্টিং নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। মূলত এটিকে প্রাইভেট সার্ভার বলা হয়ে থাকে।
তার মানে আপনি যে হোস্টিংটা কিনবেন সেখানে শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের ই অধিকার থাকবে এটি ব্যবহার করার জন্য। শেয়ার হোস্টিং এর মত সবাই ব্যবহার করতে পারবেন না। সাধারণত এই হোস্টিং টি বেশি ট্রাফিক অথবা ভিডিও থাকা ওয়েবসাইটের জন্য বর্তমানে খুবই লাভজনক একটি হোস্টিং। তাহলে আশা করি আপনি বুঝতে পেরেছেন VPS হোস্টিং কি।
ডেডিকেটেড হোস্টিং কি
সাধারণত ডেডিকেটেড অন্যান্য হোস্টিং এর চেয়ে একদমই আলাদা। সাধারণত শেয়ার হোস্টিং অথবা অন্যান্য হোস্টিং এ বিভিন্ন ওয়েব সার্ভার আপনাকে অসংখ্য ওয়েবসাইটের সাথে বিভিন্ন মাধ্যমে শেয়ার করতে হয় এবং VPS হোস্টিং এ আপনাকে নির্দিষ্ট একটি জায়গা ভাগ করে দেওয়া হয়। অর্থাৎ এমন একটি জায়গা দেয়া হয় সেটি কেবলমাত্র আপনার।
কিন্তু উল্টা দিকে ডেডিকেটেড হোস্টিংয়ে আপনাকে পুরোপুরি একটি ওয়েব সার্ভার দিয়ে দেওয়া হয় যেটা শুধুমাত্র আপনার। উক্ত হোস্টিং এ শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের ফাইল অথবা বিভিন্ন ভিডিও স্টোর করা থাকবে। এক কথায় পুরো হোস্টিং এর ওপরে আপনার পুরোপুরি অধিকার থাকবে।
ডেডিকেট হোস্টিং এর কিছু সুবিধা রয়েছে যেমন, অনেক বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর হ্যান্ডেল করতে পারা, হোস্টিং টি অনেক নিরাপদ, ওয়েবসাইট খুব দ্রুত কাজ করে এবং সর্বশেষ এই হোস্টিংটি আপনি ৬০০০ ডলার থেকে শুরু করে কিনতে পারেন প্রতি মাসে।
রিসেলার হোস্টিং কি
সাধারণত রিসেলার hosting শেয়ার হোস্টিং এর মত। তবে এইখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত বিভিন্ন আলাদা আলাদা প্যাকেজ তৈরি করে সেটি আবার বিক্রয় করতে পারবেন। আরো সহজ ভাষায় বলতে গেলে একটি রিসেলার হোস্টিং কিনে সেটিকে আলাদা আলাদা শেয়ার হোস্টিং প্যাকেজ তৈরি করে বিক্রি করতে পারবেন। মূলত এটি হচ্ছে রিসেলার হোস্টিং।
এর থেকে আপনি আপনার কাজের পাশাপাশি বাড়তি অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন। ধরেন আপনার অনেকগুলো কাস্টমার রয়েছে তাই বারবার আপনাকে বিভিন্ন হোস্টিং কিনতে হয় এবং তার জন্য আপনার বিভিন্ন ঝামেলা হয়। মূলত এই সমস্যার সমাধানের কাজ করে রিসেলার হোস্টিং। তাহলে আশা করি আপনি রিসেলার হোস্টিং সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে গেছেন।
হোস্টিং কেন প্রয়োজন
হোস্টিং এর সুবিধা
- আগ্রেডিবল সার্ভার রিসোর্স সুবিধা।
- প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার ব্যবহারের সুবিধা।
- ফ্লেক্সিবল হোস্টিং প্ল্যান তৈরি করার সুবিধা।
- বিভিন্ন ইউজারের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ সুবিধা।
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স।
রিসেলার হোস্টিং এর অসুবিধা
- বেশি দাম।
- দুর্বল পারফর্মেন্স।
- সার্ভার আপগ্রেড করার ঝামেলা।
- মেইনটেননেস রিস্ক।
- ট্রাস্ট ইস্যু।
শেয়ার্ড হোস্টিং এর অসুবিধা
- লিমিটেড রিসোর্স।
- ডাউন টাইম।
- অনির্ভরযোগ্য।
হোস্টিং নিয়ে প্রশ্ন উত্তর – FAQs
- শেয়ারর্ড হোস্টিং
- ভিপিএস হোস্টিং
- ডেডিকেটেড সার্ভার
- রিসেলার হোস্টিং
প্রশ্নঃ হোস্টিং এর সুবিধা কি কি?
লেখকের মন্তব্য
The post ওয়েব হোস্টিং কি ও ওয়েবসাইট হোস্টিং কি পরিপূর্ণ ডিটেলস জানুন appeared first on Trickbd.com.
0 মন্তব্যসমূহ