আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
সমাজে যেনা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে গেছে। আপনি কি যেনার লিপ্ত হচ্ছেন।
যেনা এটা আমরা চলতে ফিরতে করে থাকি অথচ এই বিষয় নিয়ে আমাদের কোন চিন্তা ভাবনা নাই। আপনার কি মনে কর যে গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে হোটেলে রাত কাটালেই শুধু যেনা হয়। আপনি আপনার গার্লফ্রেন্ডের হাত ধরে ঘুরছেন এটাও যেনা। আপনি তার সাথে কফি খাচ্ছ এটাও যেনা। আপনি পড়ার জন্য নোট চাইতে গিয়ে প্রেমের মেসেজ করতেছেন এটাও যেনা। রাত জেগে কথা বলছ এটাও যেনা। খারাপ নজরে তাকাচ্ছো এটাও যেনা। আপনি তার সাথে যা যা করছেন সব যেনা হচ্ছে।
আর আমরা তো এটাকে ফ্রেশন মনে করি। আমরা মনে করি ছেলে মেয়ে একসাথে পড়বে এতে কোন সমস্যা নাই। এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার তাই বলে নিজের ইজ্জত, সম্মান নষ্ট করে এগিয়ে যেতে হবে। তবে আমরা দেখেছি কয়েকদিন আগে দেখলাম একটা বিখ্যাত কলেজের কথা দেখলাম সেখানকার মেয়েদেরকে যৌনকাজে লিপ্ত করতে বাধ্য করা হচ্ছে। নিজের ইজ্জত বিক্রি করে কিসের সাটিফিকেট অর্জন করতে যাচ্ছেন আপনারা । এখনকার জরিপ ভয়াবহ এখন ছেলে মেয়েদের মধ্যে ১০ জনের মধ্যে ৫ জনের যৌন সম্পর্কে লিপ্ত রয়েছে। দিধারছে আপনারা যেনা করছেন। গালফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড এফিয়াসে যাচ্ছেন, পতিতালয়ে যাচ্ছেন।
এখনকার ছেলে মেয়ে স্কুলে যাওয়ার সময় ব্যাগ সার্চ করলে কনডম পাওয়া যাচ্ছে। এটাকে কি আমরা এগিয়ে যাওয়া বলছি। অথচ যদি প্রাপ্তবয়স্ক গভমেন্টের আইনে কি আছে ২১ বছর ছেলেদের আর মেয়েদের ১৮ বছর হওয়ার পরেও যদি কেউ বিয়ে করতে চায় সমাজ তাকে মেনে নিতে চাচ্ছেনা। অথচ শহরের আনাচে কানাচে পতিতালয় খুলে বসেছে। যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হওয়া সহজ করে দিয়েছে। সমাজ বিয়েটাকে কঠিন করছে আর যেনাকে সহজ করছে। যত বেশি বিয়ে কঠিন করবেন যেনা ততই বাড়তে থাকবে।
আর বিয়ের সময় দেখা যায় মনে হয় যে মেয়ের বাবা মেয়েকে বিক্রি করছে আর ছেলের বাবা হচ্ছে একটা মেয়েকে কিনছে। মেয়ে বিক্রি করার সময় মহর দিচ্ছে ১০ লাখ মেয়েটাকে বিক্রি করা হচ্ছে। আর ছেলে যে যৌতুক নিবে সেটাও ১০ লাখ বা ২০ লাখ যৌতুক নিচ্ছে। এই যে একটা জাহিলিয়াত চলছে মানে আপনার আমার চোখের সামনেই সব ঘটছে। আইয়েমে জাহিলিয়াত মধ্যে যেনা করত এখন ছেলে মেয়ে জেনে বুঝে জেনা করছে। আইয়েমে জাহিলিয়াত এর মধ্যে সুদ ছিল আর এখন সারা বিশ্বে সুদ ছড়িয়ে গেছে।
সুদ এমন একটা পর্যায়ে চলে গেছে আপনি চাইলে ৫০০ টাকা থেকে সুদ চালু করতে পারেন। ৫০০ টাকা একজনকে সুদ দিলে মাসে মাসে টাকা বাড়তেই থাকবে। সুদ ধনীকে আরো ধনী করে গরীবকে আরো গরীব করে। বর্তমানে সুদ চরম পর্যায়ে চলে গেছে। এখন ঘরে ঘরে সুদের ব্যবসা খুলে বসেছে। এখন কারো কাছে টাকা ধার চাইলে পাওয়া যায় না বলে সুদ নিলে টাকা দিতে পারব। চিন্তা করে দেখেন মানুষ বিপদের সময় টাকা ধার পায় না সুদে টাকা নিতে হয়।
আইয়েমে জাহিলিয়াত যুগে মাদক ছিল আর এখন বর্তমানে বডার এলাকায় মাদকের শেষ নাই। শুধু এটা এখানকার সমস্যা না এটা সব জায়গার বডার সমস্যা। মাদক দ্রব গ্রহন করছে মুসলিমরাই। সে জানে না একবার মাদক গ্রহন করলে ৪০ দিন নামাজ কবুল হয় না। কেউ যদি মাদক দ্রব সেবন করে এবং সেই অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। রাসূল (সাঃ) বলেছেন আল্লাহপাক সেই বান্দাকে তিনআতুন খাবার পান করাবেন।
সাহাবীরা জিজ্ঞাসা করলেন তিনআতুন খাবার কি ইয়া রাসূল আল্লাহ। রাসূল (সাঃ) বলেছেন→এটা জাহান্নামের রক্ত, মাংস, পুঁজের একটা মিশ্রিত পানি। আমার কি এসব খাবার খেতে চাই আজকে থেকে তওবা করবেন এখন থেকে কোন ধরনের মাদক দ্রব গ্রহন করবেন না। আল্লাহ পাক আমাদের হেফাজত করুন আমিন। আইয়েমে জাহিলিয়াতে মাদক ছিল এখনো সেটা আছে। গুত্র হানাহানি ছিল এখনো আছে। আইয়েমে জাহিলিয়াতে নারীর অবমাননা ছিল এখনো আছে শহরের অলিতে-গলিতে নারীর অবমাননা চলছে।
একজন মেয়ে এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় বাসে করে যাবে যেতে পারছে না বাসের ডাইভার রেপ করে দিচ্ছে। ঢাকাতে একজন মেয়ে এক জায়গায় কাজ করে এক জায়গায় থেকে আরেক জায়গায় যাবে সেটা পারছেনা বাসের ডাইভার, কন্টাকদার তাকে রেপ করে দিচ্ছে। কোথায় মেয়েদের স্বাধীনতা কোথায় মেয়েদের ইজ্জতের স্বাধীনতা আছে বলতে পারবেন। একজন বড় ক্ষমতাধর ব্যক্তিও তার স্ত্রীকে রাস্তায় একা ছাড়তে পারছে না ভয় পাচ্ছে। না জানি কি হয়ে যায় আস্তাগফিরুল্লাহ।
যখন একজন মুসলিম নারী পর্দা করে রাস্তায় বের হয় তখন তার দিকে বাকা চোখে তাকাচ্ছেন ওর দিকে বাকা চোখে তাকাচ্ছে যে কেন সে পর্দা করে চলবে, জঙ্গি, সন্তাসবাদী, জামাত ইসলাম ইত্যাদি। মানে আমাদের মন মানসিকতা এমন অবস্থা হয়ে গেছে যে আমরা ভালো কিছু মনে করতেও পারি না এবং ভালো কিছু দেখতেও পারি না। একজন মানুষ ভালোভাবে সমাজে চলছে এমন অনেক মানুষ আছে যারা হুদাই আজাইরা কথা সমাজে বলে বেড়াবে।
যেনা এমন একটা পাপ যদি আপনি হোটেলে বা আপনার গার্লফ্রেন্ডে সাথে যেকোনো জায়গায় যেনা করে ফেলেন বা পতিতালয়ে গিয়ে যেনা করেন তাহলে আপনাকে দুনিয়াতে তিনটি কঠিন শাস্তি পেতেই হবে আখিরাতে তো শাস্তি আছেই। তিনটি শাস্তি পেয়েই আপনার মৃত্যুবরণ করতে হবে। আর আপনি যদি তওবা করেন তাহলে আপনি দুনিয়া ও আখিরাতে ক্ষমা পেয়ে যাবেন এবং দুনিয়াতে কোন শাস্তি পাবেন না। শাস্তি গুলো কি কি এবং এর থেকে কিভাবে ক্ষমা পাবেন এই বিষয় নিয়ে আর্টিকেল চাইলে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আজকে এ পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবে আল্লাহ হাফেজ।
আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি
The post সমাজে যেনা ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে গেছে। আপনি কি যেনার লিপ্ত হচ্ছেন। appeared first on Trickbd.com.
0 মন্তব্যসমূহ